আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়া এবং চীনের ১৩ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করা এবং উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রেখে দেশটিকে সহায়তার অভিযোগ এনে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। রয়টার্স।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক দেশ বলে উল্লেখ করার একদিন পরেই রাজস্ব বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে এক বিবৃতিতে, চীন এবং উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আনা হলো।
নতুন এই নিষেধাজ্ঞার কারণে চীন এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মার্কিন প্রশাসন বলছে, পিয়ংইয়ংয়ের ওপর চাপ প্রয়োগ করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া ঘোষণা করেছে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম এমন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার উন্নয়ন করছে।
ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন টি. নুচিন বলেছেন, খুনি দেশটিকে (উত্তর কোরিয়া) বিচ্ছিন্ন করার প্রচারণায় উত্তর কোরিয়া এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি বা তাদের সমর্থকদের চাপ প্রয়োগ করার লক্ষ্যেই এই নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে।
ড্যানডং কেহুয়া ইকোনমি অ্যান্ড ট্রেড কোং, ড্যানডং শিয়ানঘে ট্রেডিং কোং এবং ড্যানডং হোংডা ট্রেড কোং নামে চীনের তিনটি কোম্পানিকে মার্কিন কালো তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। মার্কিন রাজস্ব বিভাগ বলছে, এই কোম্পানিগুলো উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সাড়ে সাতশ মিলিয়ন ডলারের বেশি বাণিজ্য করেছে।
ওই নিষেধাজ্ঞায় কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে সান সিডোং এবং তার ড্যানডং ডংগুয়ান ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোং নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখার কারণে চীনের ড্যানডং শহরের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে। ওই শহরটি উত্তর কোরিয়ার সীমান্তেই অবস্থিত।
রাশিয়া, পোল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং চীনের মতো দেশগুলোতে নাগরিকদের শ্রমিক হিসেবে পাঠায় উত্তর কোরিয়ার এমন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে।